মঙ্গল গ্রহের গোপন রহস্য উন্মোচন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে ড্রোন পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে নাসা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি ইতোমধ্যেই নতুন প্রজন্মের একটি শক্তিশালী ড্রোনের নকশা তৈরি করেছে। এই ড্রোন মঙ্গল গ্রহে উড়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি বেশি ওজন বহনে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে নাসা।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে পারসিভারেন্স রোভারের সঙ্গে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার সফলভাবে কাজ করেছিল। তবে নতুন ড্রোনটি, যাকে “মার্স চপার” নামে ডাকা হচ্ছে, ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারের তুলনায় আরও শক্তিশালী এবং বহুমুখী কার্যক্ষমতা সম্পন্ন হবে। এটি মঙ্গলের দূরবর্তী এবং জটিল ভূখণ্ডে গবেষণা চালাতে সহায়তা করবে।
ড্রোনের নকশা ও প্রযুক্তি
ড্রোনটির উন্নত নকশা ও প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য মঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশে কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
ছয়টি রোটর: প্রতিটি রোটরে ছয়টি পাখা বা ব্লেড রয়েছে, যা ড্রোনটিকে দীর্ঘ সময় ধরে স্থিতিশীলভাবে উড়তে সাহায্য করবে।
ওজন বহন ক্ষমতা: এটি সর্বোচ্চ পাঁচ কিলোগ্রাম ওজন বহন করতে পারে।
উড্ডয়ন দূরত্ব: ড্রোনটি একবারে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারবে।
তথ্য বিশ্লেষণ প্রযুক্তি: ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য অত্যাধুনিক কিট থাকবে ড্রোনটিতে।
ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার প্রায় তিন বছর ধরে মঙ্গলের আকাশে উড়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে। তবে নতুন ড্রোনটি আরও উন্নত সক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে, যা মঙ্গলের গভীরে লুকিয়ে থাকা অনেক অজানা তথ্য উন্মোচনে সাহায্য করবে। ড্রোনটি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL) এবং আমেস রিসার্চ সেন্টারে তৈরি হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের আশা, মার্স চপার নামের এই ড্রোন মঙ্গলের পরিবেশ, ভূখণ্ড এবং সম্ভাব্য প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনবে। এর মাধ্যমে মঙ্গলে বসবাসের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণাও আরও বেগবান হবে।
সুত্র : এনডিটিভি