কৃষি গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রমের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কৃষি গুচ্ছের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (http://acas.edu.bd
) ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি প্রকাশ করা হয়েছে ভর্তি নির্দেশিকাও। চলতি বছর কৃষি গুচ্ছের মোট আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি, বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত।
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৫ থেকে এবং চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন ফি নির্ধারিত হয়েছে ১,২০০ টাকা। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)।
কৃষি গুচ্ছের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—
১. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
২. গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
৩. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
৪. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
৫. চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়,
৬. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
৭. খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
৮. হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং
৯. কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা
ক.
২০২১/২০২২/২০২৩ সালের এসএসসি/সমমান এবং ২০২৪/২০২৫ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি, ২০২৪ সালের এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরাও আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
খ.
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে চতুর্থ বিষয় বাদে ন্যূনতম জিপিএ ৪ থাকতে হবে এবং মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.৫০ হওয়া বাধ্যতামূলক।
গ.
‘ও’ ও ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ‘ও’ লেভেলে অন্তত ৫টি বিষয় এবং ‘এ’ লেভেলে বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয় পাস করা আবশ্যক। উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.৫০ থাকতে হবে। এখানে এ ও বি গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।
ঘ.
শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (৩ শতাংশ), আর প্রকৃত উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীরা উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/পার্বত্য অ-উপজাতি কোটায় (১ শতাংশ) আবেদন করতে পারবেন। একইভাবে, প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা প্রতিবন্ধী কোটায় (১ শতাংশ) আবেদন করতে পারবে। কোটায় আবেদন করার ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থানে টিক চিহ্ন দিতে হবে এবং নিচে উল্লেখিত কাগজপত্র অনলাইনে আপলোড করতে হবে (সর্বোচ্চ 2MB এর PDF ফরম্যাট): মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার ক্ষেত্রে পিতা-মাতার অনুকূলে সরকার স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদের সফট কপি; উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/পার্বত্য অ-উপজাতি প্রার্থীদের জন্য নিজ নিজ জেলা প্রশাসক প্রদত্ত স্থায়ী বাসিন্দা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্র; আর প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের কপি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বন্টন
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩ জানুয়ারি ২০২৬, শনিবার বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৫ সালের এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন সাজানো হবে—
- ইংরেজি ১০ নম্বর
- প্রাণিবিজ্ঞান ১৫ নম্বর
- উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৫ নম্বর
- পদার্থবিজ্ঞান ২০ নম্বর
- রসায়ন ২০ নম্বর
- গণিত ২০ নম্বর
প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
ফলাফল প্রস্তুত
মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) থেকে ২৫ নম্বর এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) থেকে ২৫ নম্বর যোগ করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।
আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি
১. আবেদন গ্রহণ: ২৫-১১-২০২৫ থেকে ১৫-১২-২০২৫ পর্যন্ত
২. প্রবেশপত্র ডাউনলোড: ২৭-১২-২০২৫ তারিখ থেকে পরীক্ষার পূর্ব পর্যন্ত
৩. ওয়েবসাইটে আসন বিন্যাস প্রকাশ: ২৭-১২-২০২৫
৪. ভর্তি পরীক্ষা: ৩-১-২০২৬, শনিবার বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত
৫. ফলাফল প্রকাশ: ৭-১-২০২৬