ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ DRMC ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ


  • বাংলা মাধ্যমে: ১০০ জন
  • ইংরেজি মাধ্যমে: ৫০ জন
  • বয়সসীমা: ৭-৯ বছর (১ জানুয়ারি ২০২৫ অনুযায়ী)
  • বাংলা মাধ্যমে: ৫০ জন
  • বয়সসীমা: ১০-১২ বছর (১ জানুয়ারি ২০২৫ অনুযায়ী)
বিভাগভার্সনশিক্ষার্থী সংখ্যা
বিজ্ঞানবাংলা২০ জন
বিজ্ঞানইংরেজি১০ জন
ব্যবসায় শিক্ষাইংরেজি৪০ জন
মানবিকবাংলা ৪০ জন
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ -  DRMC
  • বাংলা মাধ্যমে: ১০০ জন
  • ইংরেজি মাধ্যমে: ৫০ জন
  • বয়সসীমা: ৭-৯ বছর
  • ভর্তি পরীক্ষা: ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়
  • বাধ্যতামূলক আবাসিক: ৫০ জন
  • বয়সসীমা: ১০-১২ বছর
  • ভর্তি পরীক্ষা: ২১ ডিসেম্বর দুপুর ২টায়
বিভাগভার্সনশিক্ষার্থী সংখ্যা
বিজ্ঞানবাংলা২০ জন
বিজ্ঞানইংরেজি১০ জন
ব্যবসায় শিক্ষাইংরেজি৪০ জন
ব্যবসায় শিক্ষাবাংলা ৪০ জন
বিষয়নম্বর
বাংলা১৫
ইংরেজি১৫
গণিত২০
বিষয়নম্বর
বাংলা৩০
ইংরেজি৩০
গণিত৪০
বিষয়নম্বর
বাংলা২০
ইংরেজি২৫
গণিত৩০
বিজ্ঞান২৫

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ DRMC

ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ (DRMC) এক অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যা একটি মনোরম শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করে। এখানে শিক্ষার্থীরা শুধু ভালোভাবে পড়াশোনা করাই নয়, ভালো আচার-ব্যবহার এবং শিষ্টাচার শেখে, যাতে তারা সুনাগরিক এবং রুচিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

DRMC এর অবস্থান

মোহাম্মদপুরে ৫২ একর জমির উপর বিস্তৃত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬০ সালে ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত পাবলিক স্কুল, বিশেষত ইটন কলেজের আদলে গড়ে ওঠে এবং মূলত সামরিক কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাদান নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়।

রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ (Dhaka Residential Model College – DRMC) বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত। এই প্রতিষ্ঠানটি যুগের পর যুগ ধরে শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে অনন্য অবদান রেখে চলেছে।

১৯৬৭ সালে কলেজ শাখার যাত্রা শুরু হলেও, ১৯৮৪ সালে এটি ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ নামে পরিচিতি লাভ করে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও লক্ষ্য

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ (DRMC) এর যাত্রা শুরু হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খানের উদ্যোগে। আধুনিক, আবাসিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষার ধারণাকে বাস্তবায়ন করতেই গড়ে তোলা হয়েছিল এই মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তখন থেকে আজ পর্যন্ত DRMC তার লক্ষ্য ও আদর্শে অবিচল থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তুলছে।

DRMC এর একাডেমিক গৌরব

বর্তমানে কলেজটিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা—তিনটি বিভাগেই রয়েছে উচ্চমানের পাঠদান ব্যবস্থা। অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ ও ডিজিটাল ল্যাবরেটরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একটি প্রযুক্তিবান্ধব পরিবেশে শিক্ষালাভের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

DRMC-এর শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল করে থাকে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিতর্ক, কুইজ এবং রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে তারা দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে।

ক্যাম্পাস ও আবাসিক সুবিধা

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসটি প্রায় ৫০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সবুজে ঘেরা, পরিচ্ছন্ন এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ এই ক্যাম্পাসটি শিক্ষার জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক আবাসিক হল, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, খেলার মাঠ এবং মেডিকেল সেন্টারসহ সব ধরনের সুবিধা রয়েছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রম ও নেতৃত্ব বিকাশ

DRMC বরাবরই বিশ্বাস করে যে শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাই সহশিক্ষা কার্যক্রমে রয়েছে স্কাউটিং, বিতর্ক, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তঃবিদ্যালয় প্রতিযোগিতা। এছাড়াও কলেজের ক্যাডেট প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব ও দেশপ্রেমের বীজ বপন করে।

প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে স্মার্ট ক্লাসরুম, অনলাইন রেজাল্ট সিস্টেম এবং ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তাকর্মী এবং নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা।

অ্যালামনাই ও সামাজিক ভূমিকা

DRMC-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আজ দেশের প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও ব্যবসায় জগতে শীর্ষস্থানীয় পদে অধিষ্ঠিত। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নিয়মিত বিভিন্ন সমাজসেবা, রক্তদান ও বৃত্তি কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।

ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ শুধুমাত্র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি একটি জাতি গঠনের কারখানা। মানসম্মত শিক্ষা, নেতৃত্বের বিকাশ এবং নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে DRMC দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গঠন করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে দেশ ও জাতিকে আরও গৌরবান্বিত করবে, এমন প্রত্যাশা সকলের।

DRMC পরিচালনা কমিটি

পাকিস্তানের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী হাবিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্কুলের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রাথমিকভাবে এটি পরিচালনার দায়িত্ব পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ন্যস্ত ছিল। তবে ১৯৬২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের কাছে হস্তান্তর করে।

১৯৬৫ সালে, একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে প্রাদেশিক সরকারের প্রধান সচিবকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং এই কমিটি স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব পায়।

১৯৬৬ সালের জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকার পুনরায় এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখে। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত, এখানে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করত। ১৯৬৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়।

পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হওয়ার পর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেন। তবে এই প্রতিষ্ঠান তার স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা ধরে রেখেই পরিচালিত হতে থাকে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *