সকল প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেই ভারতের সম্পর্কের অবনতি

ভারতের সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশ

নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক

ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক

মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক

মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ক

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দুই দফা বাংলাদেশ সফর করেছেন। প্রথমবার ২০১৫ সালের ৬ জুলাই এবং দ্বিতীয়বার ২০২১ সালের ২৬ মার্চ। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এক নতুন মোড়ে প্রবেশ করেছে।

শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। এর পর থেকেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ভারত একাধিক অভিযোগ তুলেছে। বিশেষত, বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারার বিষয়টি ভারত বারবার তুলে ধরছে।

উত্তেজনার প্রভাব বাণিজ্যে

উভয় দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রভাব সরাসরি পড়ছে বাণিজ্যে। ভারতীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টের তুলনায় ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রপ্তানি ২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ পরিস্থিতি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কেও চাপ তৈরি করছে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক সঞ্জয় ভরদ্বাজ মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এ কারণে ভারতের “নেইবারহুড ফার্স্ট” নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তার মতে,

“ভারতের সবসময় লক্ষ্য থাকে নিজের উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা এবং সেখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।”

পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ সম্পর্ক

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং দুই দেশের মধ্যে উদ্ভূত উত্তেজনা কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে পারস্পরিক সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে উত্তেজনা কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলে উভয় দেশের জন্যই এটি ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারে।

Leave a Comment