সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারির নতুন তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রাথমিকভাবে লটারি অনুষ্ঠান ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, টেলিটকের অনুরোধ এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে লটারির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
২০২৪ সালের বিদ্যালয় ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১২ নভেম্বর এবং শেষ হয় ৩০ নভেম্বর। এই সময়ে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আবেদন করেন। সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রতি শিক্ষার্থীদের বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। বিপরীতে, বেসরকারি বিদ্যালয়ে আবেদন তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বেশি আগ্রহের মূল কারণ হলো নিম্ন ব্যয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সরকারি সুবিধা। ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি। এতে করে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতা অত্যন্ত তীব্র হয়েছে।
বেসরকারি বিদ্যালয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। ৪,৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে মোট ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি। এর প্রধান কারণ হিসেবে উচ্চ শিক্ষার ব্যয় এবং কিছু ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাবকে ধরা যেতে পারে।
ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া
এবারের ভর্তি প্রক্রিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো ডিজিটাল লটারি। লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মতে, এই প্রক্রিয়া পক্ষপাতিত্ব এবং স্বার্থের সংঘর্ষ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে এবার ৫,৬২৫টি বিদ্যালয়ে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি আসনের জন্য ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯টি আবেদন জমা পড়েছে। সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি আবেদন এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি আবেদন জমা হয়েছে।
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে স্বচ্ছ এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভর্তি প্রক্রিয়া দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুযোগ সমতা আনার পাশাপাশি, অভিভাবকদের জন্যও হবে একটি সহজ এবং স্বস্তিদায়ক পদ্ধতি।
শিক্ষাব্যবস্থায় এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিকল্পিত উদ্যোগ ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।