প্রাইজবন্ড ড্র ২০২৫ এর আওতায় ১২০তম প্রাইজ বন্ড ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের ১২০তম ড্র সম্পন্ন হয়েছে। এতে ৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছে নম্বর ০৫৪৪২২২ এবং ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে নম্বর ০২৪১৭৬৮।
এই ড্র অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
প্রতিটি প্রাইজবন্ড ড্র এর ফলাফল বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
প্রাইজ বন্ড ড্র’র নীতিমালা
একক সাধারণ পদ্ধতিতে, অর্থাৎ প্রতিটি সিরিজে একই নম্বর অনুসরণ করে ড্র পরিচালিত হয়। এবারের ড্রতে ৮২টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ নম্বর থেকে মোট ৩,৭৭২টি নম্বরকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
যেমন – যেই প্রাইজবন্ড নম্বরটি প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটি প্রতিটি সিরিজের জন্য প্রথম পুরস্কারের উপযুক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে। একই নিয়মে, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নম্বরগুলোও তাদের নির্ধারিত মূল্যমান অনুযায়ী প্রতিটি সিরিজে পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত হবে।
ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্ধারিত তারিখের দুই মাস আগে পর্যন্ত বিক্রি হওয়া প্রাইজবন্ডগুলোই কেবলমাত্র ওই ড্রয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে।
ড্রয়ের তারিখের পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হবে, সেগুলো ওই ড্রয়ের আওতায় গণ্য করা হবে না।
আয়কর আইন ২০২৩-এর ১১৮ ধারার অধীনে, প্রাইজবন্ড পুরস্কার হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ২০% হারে উৎসে কর কর্তন করা হবে।
আরও পড়ুন: ১১৯ তম প্রাইজ বন্ড ড্র’র ফলাফল
‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত সিরিজ সমুহ
বর্তমানে প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮২টি সিরিজ যথা:
- কক, কখ, কগ, কঘ, কণ্ঠ, কচ, কছ, কজ,
- কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড়, কঢ, কথ, কদ,
- কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ,
- কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ,
- খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ,
- খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খম, খস,
- খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গহু, গল্প,
- গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড়, গঢ়, গথ, গদ, গন,
- গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ,
- ঘক, ঘথ, ঘগ এবং ঘঘ
এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।
১২০তম প্রাইজ বন্ড ড্র’র ফলাফল
১ম পুরস্কার | টাঃ ৬,০০,০০০/= | ০৫৪৪২২২ |
২য় পুরস্কার | টাঃ ৩,২৫,০০০/= | ০২৪১৭৬৮ |
৩য় পুরস্কার: মোট ২ টি
টাঃ ১,০০,০০০/= | ০৫৫৩৮৪৫ |
টাঃ ১,০০,০০০/= | ০৯৬৪০৫২ |
৪র্থ পুরস্কার: মোট ২ টি
টাঃ ৫০,০০০/= | ০০৫৪৩৮২ |
টাঃ ৫০,০০০/= | ০১৯৭১৪২ |
৫ম পুরস্কার: মোট ৪০টি
প্রতিটি ১০,০০০/= টাকার। তাদের নম্বরগুলো হলো-
- ০০০৬৭৫৪, ০০৩১২৯৬, ০০৫৩৮১১, ০০৬৭৫৬৬, ০১০৪৩৩৪,
- ০১১১৩৭১, ০১৪৯৯৯২, ০১৬৪৬০৬, ০১৯৩৩৫৪, ০২২২০৯৫,
- ০২২২৪৬৫, ০২৫৪৯৪০, ০২৯৮২৬৬, ০৩১১৮৮৫, ০৩২৩৩৬২,
- ০৩২৮১২২, ০৩৭৬৪২৩, ০৪০৩৬৩৫, ০৪১৯৬১৪, ০৫২৪৯৩৫,
- ০৫৪১৭৩৪, ০৫৮২৯৮৬, ০৬১৩৭০৪, ০৬২৯৬৩৮, ০৬৫৭৭৩৪,
- ০৬৫৭৯৯৪, ০৬৬৫৭৫৭, ০৬৭৪৫২৪, ০৬৮৯৪১৯, ০৭০২৬৯৬,
- ০৭০৮০৩৩, ০৭৩৫১০২, ০৭৫১১৬৫, ০৭৫৫৭২৪, ০৭৭২৫৮০,
- ০৮২৪৯৮৮, ০৮২৬৭৫৪, ০৮৪১৫০৩, ০৮৪৮১৩৭ ও ০৮৭০২২২।
প্রাইজ বন্ড ড্র’র ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রাইজবন্ড কী?
প্রাইজবন্ড হলো জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু করা একটি বিশেষ ধরনের বিনিয়োগ পদ্ধতি। এটি এমন এক ধরনের কাগজভিত্তিক মুদ্রা, যা দেখতে লটারির মতো হলেও প্রকৃত অর্থে এটি লটারি নয়। সাধারণ লটারিতে একবার ড্র হওয়ার পর তার কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায় এবং কেউ বিজয়ী না হলে বিনিয়োগকৃত পুরো অর্থ হারাতে হয়।
কিন্তু প্রাইজবন্ডের ক্ষেত্রে নিয়ম ভিন্ন। একবার ড্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হলেও, এটি ভবিষ্যতের অন্যান্য ড্রয়েও বৈধ থাকে। অর্থাৎ, একজন বিনিয়োগকারী একই বন্ড দিয়ে একাধিকবার ড্রয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো—যদি কেউ পুরস্কার না-ও পান, তবুও তিনি তার মূল বিনিয়োগের টাকা ফেরত পেতে পারেন। তবে এই বিনিয়োগের বিপরীতে কোনো ধরনের সুদ বা লভ্যাংশ প্রদান করা হয় না। এটি মূলত সরকারের একটি অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম, যেখানে জনগণের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পরবর্তীতে তা পরিশোধ করা হয়।