বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত শহর কক্সবাজার। এই জায়গাটি শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটকদের নিকট এক আকর্ষণীয় গন্তব্য। ১২০ কিমি দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত এই শহরটিতে রয়েছে অসংখ্য হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউজ – যা পর্যটকদের বিভিন্ন বাজেট ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দিয়ে থাকে। আজ জানবো কক্সবাজারের সেরা ১০ হোটেল (Best 10 Hotel in Cox’s Bazar) সম্পর্কে।
তবে আপনি যদি সত্যিই চমৎকার একটা ছুটি কাটাতে চান, তাহলে শুধু জায়গা বা সৈকত নয়, আপনার থাকার জায়গাটিও হতে হবে স্বাচ্ছন্দ্যময় ও বিলাসবহুল। কারণ হোটেলই আপনার পুরো ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারে। এই জন্যই আমরা নিয়ে এসেছি কক্সবাজারের সেরা ১০ হোটেলের তালিকা – যেগুলো জনপ্রিয়তা, রিভিউ, লোকেশন, সুযোগ-সুবিধা ও অতিথি সন্তুষ্টি বিবেচনা করে নির্বাচন করা হয়েছে।
এই আর্টিকেল আপনাকে কক্সবাজার ভ্রমণের সময় সঠিক হোটেল নির্বাচন করতে সাহায্য করবে। হোক সেটা হানিমুন, ফ্যামিলি ট্রিপ বা একা এক ভ্রমণ – প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য এখানে রয়েছে উপযুক্ত বিকল্প।
হোটেল নির্বাচন করার সময় যেসব বিষয় জানা জরুরি
ভ্রমণের সময় সঠিক হোটেল বেছে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো হোটেল পুরো ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে। অন্যদিকে, ভুল হোটেল আপনার পুরো অভিজ্ঞতাকে হতাশাজনক করে তুলতে পারে।
বাজেট
সবার আগে আপনাকে ভাবতে হবে, আপনার বাজেট কত? কক্সবাজারে ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫,০০০ টাকার রুম পাওয়া যায়। আপনি যদি সীমিত বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ করেন, তাহলে গেস্ট হাউজ বা মিড-রেঞ্জ হোটেল বেছে নেওয়া ভালো। আবার বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার জন্য ৪ বা ৫ তারকা হোটেল বেছে নেওয়া উচিত।
অবস্থান
আপনি সৈকতের কত কাছাকাছি থাকতে চান? কক্সবাজার শহরের মধ্যেই অনেক হোটেল থাকলেও, সৈকতের একদম কাছের হোটেলগুলোই সেরা অভিজ্ঞতা দিতে পারে। মেরিন ড্রাইভ বা ল্যাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি হোটেলগুলো ভিউ ও অবস্থানের দিক দিয়ে তুলনাহীন।
সুযোগ-সুবিধা
রুম সার্ভিস, রেস্টুরেন্ট, সুইমিং পুল, ফ্রি Wi-Fi, শিশুদের জন্য খেলার জায়গা, স্পা, ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস – এই বিষয়গুলো যাচাই করে দেখুন। আপনি যদি হানিমুনে যান, তাহলে রোমান্টিক সেটআপ, ক্যান্ডেল লাইট ডিনার ইত্যাদি সুবিধাও গুরুত্বপূর্ণ।
কক্সবাজারের সেরা ১০ হোটেল | Best 10 Hotel in Cox’s Bazar
১. হোটেল সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা (Sea Pearl Beach Resort & Spa)
২. রামাদা বাই উইন্ডহ্যাম কক্সবাজার (Ramada by Wyndham Cox’s Bazar)
৩. সায়মান বিচ রিসোর্ট (Sayeman Beach Resort)
৪. ওশান প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট (Ocean Paradise Hotel & Resort)
৫. বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ (Best Western Heritage)
৬. হোটেল দি কক্স টুডে (Hotel The Cox Today)
৭. বেওয়াচ (Baywatch)
৮. সী গাল হোটেল (Seagull Hotel)
৯. হোটেল সি প্যালেস (Hotel Sea Palace)
১০. লং বিচ হোটেল (Long Beach Hotel)
হোটেল সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা (Sea Pearl Beach Resort & Spa)
কক্সবাজারের ইনানী বিচের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা একটি প্রকৃত বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। যারা কোলাহল এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ একটি সমুদ্রতীরবর্তী অবকাশ চায়, তাদের জন্য এটি আদর্শ।
এই রিসোর্টটি ১৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত এবং রয়েছে ২৫০টির বেশি আকর্ষণীয় রুম ও স্যুইট। প্রতিটি রুমে আছে সমুদ্র বা পাহাড়ের ব্যালকনি ভিউ, যা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগে অনন্য। রুমে আধুনিক সব সুবিধা যেমন LED টিভি, হাই স্পিড Wi-Fi, মিনিবার, জ্যাকুজি বাথটাব ও হাউসকিপিং সার্ভিস পাওয়া যায়।
এখানে রয়েছে প্রিমিয়াম রেস্টুরেন্ট, লাইভ বারবিকিউ স্টেশন, মাল্টি-কুইজিন খাবার, এবং স্পেশাল বুফে ব্রেকফাস্ট। রিসোর্টে আছে ইনফিনিটি সুইমিং পুল, জিম, স্পা, স্পোর্টস এক্টিভিটি এরিয়া, এবং শিশুদের জন্য প্লে জোন। কর্পোরেট ইভেন্ট কিংবা পারিবারিক ছুটির জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ গন্তব্য।
রামাদা বাই উইন্ডহ্যাম কক্সবাজার (Ramada by Wyndham Cox’s Bazar)
বিশ্বখ্যাত উইন্ডহ্যাম গ্রুপের অন্যতম ব্র্যান্ড রামাদা কক্সবাজার হলো একেবারে ল্যাবনী পয়েন্টের কাছাকাছি একটি আন্তর্জাতিক মানের হোটেল, যা ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে একটি প্রিমিয়াম হোটেল চয়েস।
এই হোটেলে রয়েছে আধুনিক ডিজাইনের ১১৯টি রুম ও স্যুইট, প্রতিটিই অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধায় পরিপূর্ণ। হোটেলের প্রতিটি ঘরে রয়েছে প্রশস্ত বেড, ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভি, চা-কফি মেকার, ব্যক্তিগত ব্যালকনি এবং ২৪ ঘণ্টার রুম সার্ভিস।
হোটেলের সিগনেচার রেস্টুরেন্ট “The Deck” আন্তর্জাতিক ও দেশীয় খাবারের সমন্বয়ে একটি অনন্য গ্যাস্ট্রোনমিক অভিজ্ঞতা দেয়। এছাড়াও রয়েছে রুফটপ ক্যাফে, ইনডোর সুইমিং পুল, স্পা ও ওয়েলনেস সেন্টার, এবং জিমনেশিয়াম।
ব্যবসায়িক সম্মেলনের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক কনফারেন্স রুম ও বলরুম। রামাদা হোটেল শুধু বিশ্রামের জন্য নয়, বরং একটি বিলাসবহুল লাইফস্টাইলের অংশ হয়ে উঠেছে।
সায়মান বিচ রিসোর্ট (Sayeman Beach Resort)
একসময় কক্সবাজারের অন্যতম পুরনো রিসোর্ট হিসেবে পরিচিত সায়মান বিচ রিসোর্ট, আধুনিকায়নের পর এখন পরিণত হয়েছে একটি আধুনিক ও বিলাসবহুল সমুদ্রতীরবর্তী অভিজাত রিসোর্টে। কলাতলী পয়েন্টে অবস্থিত হওয়ায় এর অবস্থান এবং সৈকতের দৃশ্য—দু’টিই অসাধারণ।
এখানে রয়েছে প্রিমিয়াম ডিলাক্স রুম, ওশেন ভিউ স্যুইট এবং হানিমুন রুম—যেগুলোর প্রতিটিই আপনাকে দেবে পূর্ণাঙ্গ প্রাইভেসি ও আরামের অভিজ্ঞতা। প্রতিটি রুমে আছে স্মার্ট টিভি, হাই স্পিড ইন্টারনেট, মিনিবার, ব্যক্তিগত ব্যালকনি এবং ইনরুম ডাইনিং সুবিধা।
রিসোর্টটির সবচেয়ে চমকপ্রদ আকর্ষণ হলো এর ইনফিনিটি সুইমিং পুল এবং “CASA BLUE” নামের রুফটপ রেস্টুরেন্ট, যেখান থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে উপভোগ করা যায় লাইভ মিউজিক। এ ছাড়া রয়েছে স্পা, জিম, ফ্যামিলি ফান জোন এবং কনফারেন্স সেন্টার।
সায়মান মূলত হানিমুন কাপল, ফ্যামিলি ট্যুরিস্ট ও কর্পোরেট অতিথিদের জন্য একেবারে আদর্শ।
ওশান প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট (Ocean Paradise Hotel & Resort)
কলাতলী এলাকায় অবস্থিত ওশান প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট হলো একটি আধুনিক এবং প্রিমিয়াম মানের হোটেল, যা অতিথিদের সর্বোচ্চ আরামদায়ক ও বিলাসবহুল অভিজ্ঞতা দেয়। এর নান্দনিক স্থাপত্য এবং বিস্তৃত প্রাঙ্গণ একে অন্যান্য হোটেল থেকে আলাদা করে তোলে।
এই হোটেলে রয়েছে ২৯৬টি রুম ও স্যুইট, যেগুলোর অধিকাংশ থেকেই দেখা যায় সমুদ্র বা পাহাড়ের নয়নাভিরাম দৃশ্য। প্রতিটি রুমে আছে ফাইভ-স্টার মানের বেডিং, ইনরুম ডাইনিং, বিশেষায়িত হাউসকিপিং এবং স্মার্ট রুম কন্ট্রোল সিস্টেম।
আরও পড়ুন: Five Star Hotel |পাঁচ তারকা হোটেল এর নাম ও ঠিকানা
“Ocean Garden” নামের মূল রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় দেশি-বিদেশি খাবারের বিশাল কালেকশন, লাইভ কুকিং স্টেশন এবং বুফে আয়োজন। রয়েছে কনফারেন্স সেন্টার, সুইমিং পুল, হেলথ ক্লাব, শিশুদের জন্য প্লে জোন এবং রুফটপ কফি কর্নারও।
ব্যবসায়িক কিংবা পারিবারিক—যেকোনো ধরণের ভ্রমণের জন্য এটি একটি আদর্শ হোটেল।
বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ (Best Western Heritage)
কলাতলী সৈকতের একদম কাছেই অবস্থিত বেস্ট ওয়েস্টার্ন হেরিটেজ হোটেল, যা আন্তর্জাতিক ‘Best Western’ হোটেল চেইনের অংশ। যারা বিশ্বমানের বিলাসিতা, নিরাপত্তা এবং আরামের সমন্বয় চান, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার পছন্দ।
হোটেলটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় এখান থেকে সহজেই পৌঁছানো যায় জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট, শপিং স্পট এবং সমুদ্রসৈকতে।
হোটেলের প্রতিটি রুম আধুনিক ফার্নিচারে সজ্জিত। রয়েছে স্যাটেলাইট টিভি, মিনিবার, কমপ্লিমেন্টারি কফি/টি সেটআপ এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বাথরুম। কিছু রুম থেকে দেখা যায় মনোরম সী-ভিউ, যা ভ্রমণকারীদের বাড়তি আনন্দ দেয়।
সুবিধা ও সার্ভিস:
- সুইমিং পুল
- ফিটনেস সেন্টার
- মাল্টিকুইজিন রেস্টুরেন্ট
- কনফারেন্স রুম ও বিজনেস সেন্টার
- ২৪/৭ রুম সার্ভিস
- এয়ারপোর্ট পিকআপ ও ড্রপ সার্ভিস
ফ্যামিলি, বিজনেস ট্রাভেলার এবং হানিমুন কাপলদের জন্য পারফেক্ট অপশন।
বিশ্বমানের ব্র্যান্ড ও বিশ্বস্ততা এই হোটেলকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।
হোটেল দি কক্স টুডে (Hotel The Cox Today)
কলাতলীতে অবস্থিত হোটেল দি কক্স টুডে একটি আরামদায়ক, স্টাইলিশ এবং প্রিমিয়াম হোটেল। এটি কক্সবাজারের সবচেয়ে পরিচিত ও অভিজাত হোটেলগুলোর একটি। পর্যটকদের কাছে হোটেলটি জনপ্রিয় মূলত এর অবস্থান, স্টাইলিশ রুম ও নানা সুবিধার কারণে।
দ্য কক্স টুডে-তে রয়েছে প্রায় ২১০টি বিভিন্ন ধরনের রুম – ডিলাক্স, সুপেরিয়র, এক্সিকিউটিভ স্যুট সহ আরও অনেক অপশন। প্রতিটি রুমে রয়েছে স্পacious লেটআউট, সিমলেস ডিজাইন ও প্রাইভেট ব্যালকনি।
প্রধান সুযোগ-সুবিধা:
- ৩টি আলাদা রেস্টুরেন্ট
- লাইভ কিচেন সেবা
- সুইমিং পুল
- স্নুকার ও গেমিং জোন
- স্পা ও হেলথ ক্লাব
- কর্পোরেট কনফারেন্স সুবিধা
পরিবার বা কর্পোরেট মিটিং—দুটির জন্যই এটি আদর্শ। শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় যেকোনো গন্তব্যে যেতে সুবিধাজনক।
বেওয়াচ (Baywatch Resort Cox’s Bazar)
বেওয়াচ হোটেল কক্সবাজারের নতুন ও আধুনিক রিসোর্টগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি মাঝারি দামের বিলাসবহুল রিসোর্ট যা মূলত তরুণ প্রজন্ম এবং কাপলদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর সমুদ্রমুখী অবস্থান, ট্রেন্ডি ডিজাইন ও আধুনিক সুবিধা একে অনন্য করে তুলেছে।
প্রতিটি রুমে রয়েছে স্মার্ট টিভি, হাই-স্পিড ইন্টারনেট, রেইন শাওয়ার, মিনিবার এবং অটোমেটেড রুম কন্ট্রোল সিস্টেম। অভ্যন্তরীণ ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়েছে হালকা রঙ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান টাচ।
মূল বৈশিষ্ট্য:
- Rooftop কফি কর্নার
- কিডস প্লে এরিয়া
- ইন-হাউজ রেস্টুরেন্ট
- লাইভ BBQ সেশন
- ফ্রন্ট সী ভিউ স্যুট
হানিমুন কাপল, বাচ্চাসহ পরিবার, কিংবা বন্ধুবান্ধবের গ্রুপের জন্য পারফেক্ট একটি স্থান।
কক্সবাজারে নতুন কিছু খুঁজছেন? তাহলে বেওয়াচই হতে পারে আপনার গন্তব্য।
সী গাল হোটেল (Seagull Hotel)
সী গাল হোটেল হচ্ছে কক্সবাজারের প্রথম কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেলের মধ্যে একটি। লাবণী পয়েন্টের একদম পাশে অবস্থিত এই হোটেল এখনও তার ঐতিহ্য বজায় রেখেছে আধুনিকতা ও ক্লাসিক স্থাপত্যের মিশেলে।
হোটেলে রয়েছে প্রায় ১৮০টি রুম ও স্যুট। প্রতিটি রুম থেকে দেখা যায় কক্সবাজারের নীল সমুদ্র। ক্লাসিক এবং আধুনিক ডিজাইনের মিশ্রণে সজ্জিত এই হোটেলটি সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
সুবিধাসমূহ:
- লাউঞ্জ ক্যাফে ও মাল্টিকুইজিন রেস্টুরেন্ট
- সি-ভিউ রুফটপ
- স্পা ও মিনি থিয়েটার
- লাইভ মিউজিক আয়োজন
- শিশুদের জন্য সেফ কিডস এরিয়া
এই হোটেলের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ তার সী-ভিউ ও ঐতিহাসিক গ্লোরি।
যারা ক্লাসিক বিলাসিতায় বিশ্বাস করেন, তাদের জন্য এটা একেবারে আদর্শ।
হোটেল সি প্যালেস (Hotel Sea Palace)
সি প্যালেস কক্সবাজারের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ হোটেল। এটি সেই হোটেলগুলোর একটি যা প্রথম থেকেই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। মূল সৈকতের ঠিক সামনে অবস্থিত এই হোটেলটির পরিধি বিশাল এবং এতে রয়েছে একাধিক ব্লক ও ক্যাটাগরির রুম।
রুম ও ফ্যাসিলিটি:
- প্রায় ২০০টির বেশি রুম
- সুইট রুম, ডিলাক্স ও স্ট্যান্ডার্ড রুম
- রুমে রয়েছে ব্যক্তিগত ব্যালকনি
- হট-কল্ড ওয়াটার, এলইডি টিভি, ইলেকট্রনিক সেফ
- বিশেষ ফিচার:
- বিশাল সুইমিং পুল
- ৪টি রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে
- বাচ্চাদের প্লে জোন
- লাইভ কনসার্ট আয়োজনের ব্যবস্থা
- ওয়েডিং ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্যাসিলিটি
আপনি যদি বড়ো ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যান বা বন্ধুদের নিয়ে কোন ইভেন্ট আয়োজন করতে চান, সি প্যালেস হবে আপনার প্রথম পছন্দ।
বিশেষ করে তাদের সী-ফ্রন্ট গার্ডেন ও বীচ রোড অ্যাক্সেস অন্য যেকোনো হোটেলের চেয়ে আলাদা।
লং বিচ হোটেল (Long Beach Hotel)
কক্সবাজারের বিখ্যাত লাক্সারি হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম লং বিচ হোটেল, যা কলাতলী সমুদ্রসৈকতের একদম কাছেই অবস্থিত। চার তারকা মানের এই হোটেলটি তার আন্তর্জাতিকমানের সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী ও আধুনিক সেবার জন্য বেশ পরিচিত।
এই হোটেলে রয়েছে ১৩২টি রুম, যার মধ্যে রয়েছে ডিলাক্স, সুপিরিয়র, এক্সিকিউটিভ স্যুইট এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট। প্রতিটি রুমে আছে আধুনিক ফার্নিচার, মিনিবার, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং, উন্নতমানের সাউন্ড সিস্টেম এবং ব্যক্তিগত ব্যালকনি।
লং বিচ হোটেলের সবচেয়ে দৃষ্টি কেড়ে নেওয়ার মতো অংশ হলো এর বিশেষ “Infinity Swimming Pool” এবং “Coral View Restaurant”। এখানে অতিথিরা উপভোগ করতে পারেন লাইভ বারবিকিউ, বুফে ডিনার ও থাই-চাইনিজ খাবারের সমারোহ।
তাছাড়া হোটেলে রয়েছে স্পা, শিশুদের খেলার জায়গা, সেমিনার হল এবং ট্যুর সার্ভিসের সুবিধাও। পরিবারসহ কক্সবাজার ভ্রমণ বা কর্পোরেট প্রোগ্রামের জন্য লং বিচ হোটেল নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার পছন্দ হতে পারে।