বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বেসরকারি ব্যাংক সিটি ব্যাংক পিএলসি সিটি ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞতি ২০২৫ (City Bank Job Circular 2025) প্রকাশ করেছে। ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ,ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং (Trainee Assistant Manager, Branch Banking) পদে কিছু সংখ্যক জনবল নেয়া হবে।

অভিজ্ঞতা ছাড়া কেবল মাত্র অনার্স বা সমমানের পরিক্ষায় উত্তির্ন হলেই আবেদন করা যাবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় পোস্টিং হতে পারে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ, যারা ব্যাংকিং খাতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান।

পদের নাম: ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং)

দায়িত্ব ও কাজের পরিধি

গ্রাহকসেবা | Customer Service

এই পদে কর্মরত ব্যক্তি হবেন ব্যাংকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন প্রতিনিধি, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা সেবা গ্রহণ করে থাকেন। গ্রাহকের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করাই হবে তাঁর মূল দায়িত্ব, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধিমালা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিচালিত হবে।
নগদবিহীন লেনদেনসমূহ যথাসময়ে সম্পন্ন করা, গ্রাহকের প্রশ্ন ও অভিযোগের দ্রুত এবং যথাযথ সমাধান প্রদান এই দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। একজন পেশাদার গ্রাহকসেবা প্রদানকারী হিসেবে তাকে হতে হবে ধৈর্যশীল, আন্তরিক এবং সমাধানমুখী।

রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট | Relationship Management

এই ভূমিকায় থাকা ব্যক্তি ব্যাংকের খুচরা গ্রাহকদের সঙ্গে দৃঢ় ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবেন। তিনি নতুন গ্রাহক সংযোজন, অ্যাকাউন্ট খোলা, আমানত সংগ্রহ এবং ঋণ সুবিধা প্রদানসহ ব্যাংকের লাভজনক ব্যবসায়িক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবেন।
একজন দক্ষ সম্পর্ক ব্যবস্থাপক হিসেবে তাকে নিয়মিত গ্রাহকের খোঁজখবর রাখা, তাদের চাহিদা বুঝে সেবা প্রদান এবং ব্যাংকের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে দক্ষতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

• স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি
• ভালো একাডেমিক রেজাল্ট থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
• পূর্ব অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই

অতিরিক্ত যোগ্যতা | Additional Requirements

• বয়সসীমা: আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২২ বছর হতে হবে।
• লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। তবে, নারী প্রার্থীদের আবেদন করতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
• শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।
• অভিজ্ঞতা: পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক নয়। তবে একাডেমিক রেজাল্ট ভালো হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
• নেতৃত্বগুণ: নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে, যেন দলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা যায় এবং দায়িত্ব নিতে সমস্যা না হয়।
• বিশ্লেষণী দক্ষতা: সমস্যা বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষমতা থাকতে হবে।
• যোগাযোগ দক্ষতা: সুস্পষ্ট ও প্রভাবশালী মৌখিক ও লিখিত যোগাযোগ দক্ষতা থাকা আবশ্যক।
• সময় ব্যবস্থাপনা ও সংগঠনের দক্ষতা: কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও সময়মতো কাজ শেষ করার দক্ষতা থাকতে হবে।
• নেটওয়ার্কিং ও যোগাযোগ রক্ষা: পেশাগত সম্পর্ক বজায় রাখার সক্ষমতা এবং সামাজিক যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।
• ফলাফলমুখী মানসিকতা: লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রবল আগ্রহ ও উদ্দীপনা থাকতে হবে।
• চাপ সামলানোর ক্ষমতা: দ্রুত পরিবর্তনশীল ও চ্যালেঞ্জপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার মানসিক প্রস্তুতি ও সক্ষমতা থাকতে হবে।

বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা

ব্যাংকের “ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার” পদে যোগদানের মাধ্যমে প্রার্থীরা পাবেন আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো এবং ভবিষ্যত নিরাপদ করার জন্য একাধিক সুযোগ-সুবিধা।

প্রাথমিক নিয়োগ ও বেতন:

নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থী প্রথম ৬ মাসের জন্য “সিনিয়র অফিসার” পদে প্রশিক্ষণকালীন হিসেবে (Learning Attachment) কাজ করবেন। এই সময় প্রতি মাসে মোট বেতন হিসেবে ৫০,০০০ টাকা প্রদান করা হবে।

পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি:

প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর প্রার্থী “অ্যাসিস্ট্যান্ট কাস্টমার সার্ভিস/রিলেশনশিপ ম্যানেজার” পদে পদোন্নতি পাবেন এবং তাঁর মাসিক বেতন বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫,০০০ টাকা হবে।

অন্যান্য সুবিধাসমূহ:

• পারফরমেন্স বোনাস: কর্মদক্ষতা অনুযায়ী বাড়তি আর্থিক পুরস্কার
• প্রভিডেন্ট ফান্ড: ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় গঠনের সুযোগ
• সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটি: জীবন ও কাজের মাঝে সুষম ভারসাম্য বজায় রাখা
• ইনস্যুরেন্স সুবিধা: স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে জীবন ও স্বাস্থ্যবিমা
• গ্র্যাচুইটি: দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের আর্থিক স্বীকৃতি
• মোবাইল বিল: অফিসিয়াল যোগাযোগের জন্য বিল সুবিধা
• ক্রেডিট কার্ড সুবিধা: ব্যাংক প্রদত্ত নির্ধারিত সীমায় লেনদেনের সুযোগ
• চিকিৎসা ভাতা: স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ে সহায়তা
• উৎসব ভাতা: বছরে ২ বার উৎসব উপলক্ষে বোনাস প্রদান

আবেদন করতে এই লিংক এ ক্লিক করুন।

সিটি ব্যাংক City Bank | আধুনিক ব্যাংকিংয়ের পথিকৃৎ

১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে আজ পর্যন্ত সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সময়ের সাথে নিজেকে বদলে নিয়ে, প্রতিষ্ঠানটি এখন আর শুধুমাত্র একটি প্রথাগত ব্যাংক নয়—বরং এটি একটি বহুমাত্রিক আধুনিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা আন্তর্জাতিক মানের সেরা চর্চা অনুসরণ করে এবং প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং-এ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

আরও পড়ুন: Metrorail Job Circular | মেট্রোরেল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

সিটি ব্যাংকের কাছে সফলতা মানে শুধুমাত্র লাভের হিসাব নয়—বরং একটি পূর্ণাঙ্গ, দায়িত্বশীল এবং প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যাংক হিসেবে দেশের আর্থিক খাতে নেতৃত্ব দেওয়া। গ্রাহক সন্তুষ্টি, উদ্ভাবনী সেবা এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়নই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

সিটি ব্যাংকের বর্তমান অবকাঠামো ও পরিসংখ্যান:

সিটি ব্যাংক এর উদ্দেশ্য ও প্রতিশ্রুতি

বৈচিত্র্যময় ও উদ্ভাবনী পণ্য ও সেবা:
সিটি ব্যাংক বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য চাহিদানির্ভর ও উত্তেজনাপূর্ণ পণ্য ও সেবা প্রদান করে, যা অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে।

সেরা কর্মসংস্থানের স্থান:
এখানে এমন একটি কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে কর্মীরা শুধু কাজ করেন না, বরং উৎকর্ষে পৌঁছানোর সুযোগ পান। প্রতিভা বিকাশ, নেতৃত্ব গড়ে তোলা এবং ক্যারিয়ার গঠনের জন্য এটি একটি “Employer of Choice”।

দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে নিরবচ্ছিন্ন উদ্যম:
প্রতিনিয়ত আমাদের প্রক্রিয়া ও প্ল্যাটফর্মগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে, যেন গ্রাহকসেবায় থাকে আরও গতি, নির্ভরতা ও মান।

উদ্ভাবন ও অটোমেশনের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত:
প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে, আমরা সবসময় নতুন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করি—যার মাধ্যমে সেবা হয় সহজ, নির্ভুল ও আনন্দদায়ক।

সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুশাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ:
কমিউনিটির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ভালো শাসনব্যবস্থা এবং সকল নীতিমালার প্রতি কঠোর আনুগত্য আমাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে বিদ্যমান।

মূল্যবোধ | Core Values

• ফলাফলনির্ভরতা: আমরা প্রতিটি কাজে ফলাফলের দিকে লক্ষ্য রাখি।
• দায়িত্বশীলতা ও স্বচ্ছতা: সব কাজেই থাকি জবাবদিহিমূলক ও খোলামেলা।
• সাহস ও শ্রদ্ধা: চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি সাহসের সাথে, আর সকলের প্রতি রাখি শ্রদ্ধাবোধ।
• নিয়োজিত ও অনুপ্রাণিত: কাজের প্রতি আমরা নিবেদিত এবং প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত।
• গ্রাহক আনন্দই আমাদের লক্ষ্য: প্রতিটি সেবায় আমরা খুঁজে ফিরি গ্রাহকের সন্তুষ্ট হাসি।

সিটি ব্যাংকের সূচনা

১৯৮৩ সালের কথা—দেশ তখনো আর্থিক খাতের ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়। ঠিক সেই সময়েই ১২ জন তরুণ ব্যবসায়ী ভবিষ্যতের দূরদর্শিতা ও অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে আসেন দেশের প্রথম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মবিশ্বাস ও নিবেদনই ছিল সিটি ব্যাংক এর জন্মের ভিত্তিপ্রস্তর।

আমরা বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এই প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা সেই সকল মহান ব্যক্তিত্বকে, যাঁদের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল দেশের ব্যাংকিং খাতে এক নতুন অধ্যায়।

প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তারা:

• মি. মনোয়ার আলী
• মি. ইব্রাহিম মিয়া (প্রয়াত)
• মি. আবদুল হাদি (প্রয়াত)
• মি. এম. এ. হাসেম (প্রয়াত)
• মি. আনোয়ার হোসেন (প্রয়াত)
• মি. আবদুল বারিক চৌধুরী (প্রয়াত)
• মি. দীন মোহাম্মদ (প্রয়াত)
• মি. এ.বি.এম. ফিরোজ
• মি. মো. আলী হোসেন
• মি. আজিজুল হক চৌধুরী (প্রয়াত)
• মি. এন.এ. চৌধুরী (প্রয়াত)

তাঁদের সাহসী উদ্যোগ ও ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তই আজকের আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সিটি ব্যাংক গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।