ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (Islami Bank Bangladesh PLC) ‘ম্যাসেঞ্জার-কাম-গার্ড (এমসিজি)’ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: | ম্যাসেঞ্জার-কাম-গার্ড (এমসিজি) |
পদ সংখ্যা: | নির্ধারিত নয় |
চাকরির ধরন: | অস্থায়ী |
কর্মস্থল: | বাংলাদেশের যেকোনো স্থান |
কর্মক্ষেত্র: | অফিস |
আবেদনের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা
- এসএসসি/সমমান পাস হতে হবে।
- অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।
আবেদনের শর্তাবলি
- ১. ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- ২. বয়সের প্রমাণ হিসেবে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার মূল সনদপত্র দেখাতে হবে; কোনো হলফনামা গ্রহণযোগ্য হবে না।
- ৩. মার্কশিট, অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট বা টেস্টিমোনিয়াল সংযুক্ত আবেদনপত্র বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।
- ৪. চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
- ৫. লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য কোনো টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।
- ৬. নিয়োগ পরীক্ষার সব ধাপে একই ধরনের ছবি ও স্বাক্ষর ব্যবহার করতে হবে।
- ৭. প্রার্থীর বৈধ ই-মেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।
বেতন ও ভাতা
নির্বাচিত প্রার্থীরা ব্যাংকের প্রচলিত বেতন স্কেল অনুযায়ী সুবিধা ভোগ করবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া
যোগ্য ও আগ্রহী প্রার্থীদেরকে ওয়েবসাইটে (career.islamibankbd.com) প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি (JPG, সর্বোচ্চ 100 KB) এবং স্বাক্ষর (JPG, সর্বোচ্চ 50 KB) আপলোডের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে আলোচিত এবং জনপ্রিয় নামগুলোর একটি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। এটি শুধু একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি বিশ্বাসযোগ্য নাম, যা দেশের জনগণকে শরীয়াহ ভিত্তিক সুদমুক্ত আর্থিক সেবা প্রদান করছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামিক ব্যাংকিং একটি দ্রুত বর্ধনশীল খাত, আর বাংলাদেশে এর পথিকৃৎ হলো ইসলামী ব্যাংক। বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হিসেবে এটি কোটি কোটি গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ইতিহাস
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৩ সালে, যা বাংলাদেশের প্রথম শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংক। শুরুটা সহজ ছিল না, কারণ তখনকার সময়ে মানুষ ইসলামিক ব্যাংকিং সম্পর্কে তেমন অবগত ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে আস্থা অর্জন করে ব্যাংকটি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
শুরুতে সীমিত শাখা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দেশের প্রতিটি জেলায় বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: SQUARE Pharmaceuticals Job Circular | স্কয়ার ফার্মায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংকগুলোর একটি। এর শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের সংখ্যা দেশের সব ব্যাংকের মধ্যে সর্বাধিক। এছাড়া ব্যাংকটি আন্তর্জাতিক পরিসরেও খ্যাতি অর্জন করেছে এবং বিভিন্ন স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ইসলামিক ব্যাংকিং এর মূলনীতি
সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থার ধারণা
ইসলামী ব্যাংকের মূল দর্শন হলো সুদ (রিবা) পরিহার। কোরআন ও হাদিসে সুদকে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই ব্যাংকটি মুনাফাভিত্তিক অংশীদারিত্বের ওপর নির্ভর করে।
শরীয়াহ ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন
প্রতিটি আর্থিক কার্যক্রম শরীয়াহ বোর্ডের অনুমোদনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ গ্রাহকের জমা থেকে শুরু করে বিনিয়োগ—সব কিছু ইসলামী শরীয়াহর নীতির আলোকে হয়।
ন্যায্যতা ও নৈতিকতার প্রতিফলন
ইসলামিক ব্যাংকিং শুধু লেনদেনের ক্ষেত্রেই নয়, ব্যবসায়িক ন্যায্যতা ও নৈতিকতা বজায় রাখার ওপরও গুরুত্ব দেয়। ঝুঁকি ভাগাভাগি, সততা এবং স্বচ্ছতা এই ব্যবস্থার মূল শক্তি।
সেবা ও কার্যক্রম
ডিপোজিট স্কিম ও সঞ্চয় হিসাব
ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় ও বিনিয়োগ স্কিম চালু করেছে। যেমন- মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব, হজ্জ সঞ্চয় স্কিম, পেনশন সঞ্চয় স্কিম ইত্যাদি। এগুলো শরীয়াহ ভিত্তিক এবং গ্রাহকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে।
বিনিয়োগ কার্যক্রম ও ফাইন্যান্সিং
ব্যাংকটি বিভিন্ন খাতে শরীয়াহ ভিত্তিক বিনিয়োগ করে। যেমন- ব্যবসায়িক ঋণ, গৃহায়ন, পরিবহন, শিল্প খাত ইত্যাদি। তবে এগুলো সুদভিত্তিক নয়, বরং মুনাফাভিত্তিক অংশীদারিত্বে হয়।
এসএমই ও কৃষি খাতে অবদান
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হলো কৃষি ও ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসা। ইসলামী ব্যাংক এসব খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ করে, যাতে উদ্যোক্তা ও কৃষকরা উন্নত জীবনযাপন করতে পারে।
ডিজিটাল ব্যাংকিং ও আধুনিক সেবা
প্রযুক্তির এই যুগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে। মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এটিএম সেবা ইত্যাদি গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেনকে সহজ করেছে।