বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলাদেশের সেরা ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি। যারা দেশের সেরা এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য এসব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পূর্বজ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি। তাই আজ আমরা জানাবো শিক্ষা, গবেষণা ও মানের দিক থেকে দেশের শীর্ষ ১০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে।

একটি দেশের জনসংখ্যাকে প্রকৃত সম্পদে রূপান্তর করতে এবং অর্থনৈতিক ও নীতিগত উন্নয়নে জনসাধারণের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এ উদ্দেশ্যেই সরকার সরকারি অর্থায়নে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন, যেগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের লাখো শিক্ষার্থী সরকারি সহায়তায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করছে। তবে মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার মান বিচারে খুব অল্প কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ই সেরা তালিকায় নিজেদের জায়গা করে নিতে পেরেছে। তাহলে চলুন, জেনে নেওয়া যাক দেশের সেরা ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)

দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হলো Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET)। যদিও এটি ১৮৭৬ সালে যাত্রা শুরু করে, কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয় ১৯৬২ সালে।

ঢাকার পলাশী এলাকায় লালবাগ থানার অন্তর্গত প্রায় ৮৩.৯ একর জমির ওপর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। বর্তমানে এখানে ৫টি অনুষদের অধীনে ১৮টি বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০,০০০-এর বেশি এবং আবাসিক হলের সংখ্যা ৮টি।

বুয়েট: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬২
  • শিক্ষার ধরণ: প্রকৌশল
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: বুয়েট
  • ওয়েবসাইট: https://www.buet.ac.bd/

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)

ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং সম্মানজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯২১ সালে ব্রিটিশ সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যা মান নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কঠোর। এজন্য একে “প্রাচ্যের অক্সফোর্ড” বলেও অভিহিত করা হয়। বর্তমানে এখানে ১৩টি অনুষদের অধীনে ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট এবং ৫৬টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র রয়েছে।

বর্তমানে এখানে প্রায় ৪৬,১৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ২০টি আবাসিক হল এবং ৩টি ছাত্রাবাস। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি দেশের সবচেয়ে বড় গ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯২১
  • ধরণ: স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: ঢাবি
  • ওয়েবসাইট: https://www.du.ac.bd/

খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)

বাংলাদেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সংক্ষেপে কুয়েট। এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে খুলনা জেলায় ১১৭.৩৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৬৭ সাল, তখন এটি খুলনা প্রকৌশল কলেজ নামে পরিচিত ছিল। ২০০৩ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী ও ৫৫৭ জনের বেশি শিক্ষক রয়েছেন। এখানে ৩টি অনুষদের অধীনে মোট ২০টি বিভাগ রয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল স্বয়ংক্রিয় গ্রন্থাগারবিশিষ্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। কুয়েট-এ মোট ৭টি আবাসিক হল রয়েছে, যার মধ্যে ১টি মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ৬টি পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত।

কুয়েট: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬৭
  • ধরন: সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: কুয়েট
  • ওয়েবসাইট: http://kuet.ac.bd/

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত এবং একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ৬৯৭.৫৬ একর জমির ওপর ঢাকার নিকটবর্তী সাভারে ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করে।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ১৬,৭৮১ জন শিক্ষার্থী এবং ৭৫৫ জন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। এখানে ৬টি অনুষদের অধীনে ৩৫টি বিভাগ এবং ৪টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।

জাবির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর ১৬টি আবাসিক হল, যেখানে ৮টি ছেলেদের এবং ৮টি মেয়েদের জন্য বরাদ্দ। এছাড়া এই ক্যাম্পাসে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ শহীদ মিনারও এক বিশেষ আকর্ষণ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৭০
  • ধরন: স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: জাবি
  • ওয়েবসাইট: https://www.juniv.edu/

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা চুয়েট বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি চট্টগ্রামের রাউজান থানার নিকটে অবস্থিত।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথমে ১৯৬৮ সালে একটি প্রকৌশল কলেজ হিসেবে স্থাপিত হয় এবং ২০০৩ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪,৫০০ জন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় | আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়

চুয়েটে শিক্ষা মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হয়। এখানে ৫টি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগ রয়েছে।

১৬৯ একর এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই ক্যাম্পাসে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, গবেষণাগার, লাইব্রেরি, আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মসজিদ, ক্যান্টিন ও মেডিকেল সেন্টারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব ১৪টি বাস রয়েছে শিক্ষার্থী ও স্টাফদের জন্য।

চুয়েট: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬৮
  • ধরন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: চুয়েট
  • ওয়েবসাইট: http://www.cuet.ac.bd/

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)

রাজশাহী বিভাগের গর্ব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হলো দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল ক্যাম্পাস সমৃদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। ৭৫৩ একর বিশাল এলাকায় গড়ে ওঠা এই বিদ্যাপীঠ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

৬ জুলাই ১৯৫৩ সালে যাত্রা শুরু করা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে “প্রাচ্যের ক্যাম্ব্রিজ” নামেও ডাকা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩৮,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থী এবং ১,৭৫৮ জন শিক্ষক রয়েছেন।

বর্তমানে রাবিতে ১১টি অনুষদের অধীনে ৫৯টি বিভাগ এবং ৪১টি অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ১৭টি আবাসিক হল—যার মধ্যে ছেলেদের জন্য ১১টি ও মেয়েদের জন্য ৬টি নির্ধারিত।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৫৩
  • ধরন: স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: রাবি
  • ওয়েবসাইট: http://www.ru.ac.bd/

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি সরকারি কৃষিভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দক্ষ কৃষিবিদ ও কৃষি প্রকৌশলী তৈরির লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ আগস্ট ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি ময়মনসিংহ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। বর্তমান ক্যাম্পাসের আয়তন ১,২০০ একর।

এখানে বর্তমানে প্রায় ৮,০৮৮ জন শিক্ষার্থী এবং ৫৬৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬টি অনুষদের অধীনে ৪১টি বিভাগ চালু রয়েছে। এছাড়াও ৯টি ছাত্র হল ও ৪টি ছাত্রী হল রয়েছে।

শুরুর দিন থেকেই বাকৃবি বহু নতুন শস্যের জাত ও কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষকদের তালিকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গবেষকের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬১
  • ধরন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: বাকৃবি
  • ওয়েবসাইট: https://www.bau.edu.bd/

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের তৃতীয় এবং আয়তনের দিক থেকে সর্ববৃহৎ গবেষণাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯৬৬ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির মোট ক্যাম্পাস ২,১০০ একর জমির উপর বিস্তৃত।

এখানে বর্তমানে প্রায় ২৭,৫০০ জন শিক্ষার্থী এবং ৮৭২ জন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও এটি দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটি চট্টগ্রাম শহরের বৃহত্তম গ্রন্থাগার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৬৬
  • ধরন: স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: চবি
  • ওয়েবসাইট: https://www.cu.ac.bd/

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে প্রথম এবং এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সিলেটের কুমারগাঁও এলাকায় ৩২০ একর জমির উপর অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সংক্ষেপে শাবিপ্রবি বা SUST নামে পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এখানকার শিক্ষা মাধ্যম ইংরেজি।

শাবিপ্রবি ২৫ আগস্ট ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে দেশের অন্যতম সেরা ও বৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে এখানে প্রায় ১০,৯২২ জন শিক্ষার্থী এবং ৫৫২ জন শিক্ষক রয়েছেন।

বর্তমানে ৬টি অনুষদের অধীনে ২৭টি বিভাগ চালু রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি একাডেমিক ভবন, ২টি প্রশাসনিক ভবন এবং ৫টি আবাসিক হল রয়েছে—যার মধ্যে ৩টি ছাত্র এবং ২টি ছাত্রীদের জন্য।
শাবিপ্রবি দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের জন্য পুরো ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা চালু করে।

শাবিপ্রবি: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৮৬
  • ধরন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: শাবিপ্রবি
  • ওয়েবসাইট: https://www.sust.edu/

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় ১০৬ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৯১ সালে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যাত্রা শুরু করে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বর্তমানে এখানে ৬টি অনুষদের অধীনে ২৮টি ডিসিপ্লিন এবং ১টি ইনস্টিটিউট চালু রয়েছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫টি আবাসিক হল রয়েছে, যার মধ্যে ৩টি ছেলেদের জন্য এবং ২টি মেয়েদের জন্য নির্ধারিত।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯১
  • ধরন: সরকারি
  • অধিভুক্তি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
  • সংক্ষিপ্ত নাম: খুবি
  • ওয়েবসাইট: http://ku.ac.bd/

এই দশটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও অনেক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো দেশ-বিদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার দরজা খুলে দিচ্ছে। তবে দুঃখজনকভাবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান ও পরিবেশ দিন দিন অবনতি ঘটছে।

আসন সংকটের কারণে প্রতিবছর হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধে পরাজিত হয় এবং উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়াও এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন আর আগের মতো খ্যাতিমান গবেষক, বিজ্ঞানী কিংবা বুদ্ধিজীবী বেরিয়ে আসছেন না।

কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে এসব বিশ্ববিদ্যালয় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাই সরকারের উচিত যথাযথ নজরদারির মাধ্যমে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে শক্তিশালী করা এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।

Leave a Comment