ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি আবেদন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের স্নাতক পর্যায়ের (আন্ডারগ্র্যাজুয়েট) ভর্তির আবেদন কার্যক্রম ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় অনলাইনে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে। আবেদন ফি ৮০০ টাকা।
ভর্তির বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাত কলেজের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৫ এপ্রিল, বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ১৯ এপ্রিল এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর সাত কলেজের বিজ্ঞান অনুষদে মোট আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬২৭টি, যার মধ্যে ৬১৮টি আসন কোটা ভিত্তিতে বরাদ্দ থাকবে। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ১০ হাজার ১৯টি, যেখানে ৭৯৯টি কোটা আসন অন্তর্ভুক্ত। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯২টি, যার মধ্যে কোটায় আসন সংখ্যা ৩৯০টি।
ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট https://collegeadmission.eis.du.ac.bd থেকে।
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের তালিকা
১. ঢাকা কলেজ
২. ইডেন মহিলা কলেজ
৩. সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ
৪. কবি নজরুল কলেজ
৫. বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ
৬. মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ
৭. সরকারি তিতুমীর কলেজ
সাত কলেজের ভর্তি আবেদন যোগ্যতা
ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হলে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ইউনিট অনুযায়ী ভর্তির যোগ্যতা নিম্নরূপ:
বিজ্ঞান ইউনিট: | এসএসসি এবং এইচএসসিতে (৪র্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ কমপক্ষে ৭.০০। |
কলা ও মানবিক ইউনিট: | এসএসসি এবং এইচএসসিতে (৪র্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.০০। |
বাণিজ্য ইউনিট: | এসএসসি এবং এইচএসসিতে (৪র্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০। |
সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমুহ
পরীক্ষার সময়: | ১ ঘণ্টা |
পরীক্ষার পদ্ধতি: | এমসিকিউ (MCQ) |
পূর্ণমান: | ১০০ নম্বর |
জিপিএ নম্বর (এসএসসি + এইচএসসি) : | ২০ নম্বর |
নেগেটিভ মার্কিং: | নেই |
পাস মার্ক: | ৪০ |
পরীক্ষার মাধ্যম: | বাংলা ও ইংরেজি |
পরীক্ষার স্থান: | ঢাকা |
সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক মানবণ্টন
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট:
- বাংলা: ২০ নম্বর
- ইংরেজি: ২০ নম্বর
- হিসাববিজ্ঞান: ২০ নম্বর
- ব্যবসায় শিক্ষা: ২০ নম্বর
- মার্কেটিং/ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (যেকোনো একটি): ২০ নম্বর
- মোট: ১০০ নম্বর
মানবিক ইউনিট:
- বাংলা: ২৫ নম্বর
- ইংরেজি: ২৫ নম্বর
- সাধারণ জ্ঞান: ৫০ নম্বর
- মোট: ১০০ নম্বর
বিজ্ঞান ইউনিট:
যেসব প্রার্থী উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পর্যায়ে পদার্থ, রসায়ন, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করেছে, তাদের জন্য মোট ১০০ নম্বর বরাদ্দ। তবে কোনো প্রার্থী ইচ্ছা করলে শুধু উচ্চ মাধ্যমিকের ৪র্থ বিষয় থেকে একক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন, যেখানে ২৫ নম্বর বরাদ্দ।
সাধারণ জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত বিষয়:
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ঘটনা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সামাজিক বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, ইসলামিক ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, ভূগোল, ধর্ম এবং সাহিত্য।
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ
গতানুগতিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও সংশোধিত নম্বরবণ্টন
এই সিদ্ধান্তের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে চাপ কমানো। তবে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও এই উদ্যোগ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেলেও, কলেজগুলোর সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও নতুন অধিভুক্ত কলেজগুলোর ব্যবস্থাপনায় নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
অধিভুক্তির কারন
২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট এবং চাপ কমাতে একটি প্রস্তাব দেন। তিনি নির্দেশ দেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা সরকারি কলেজগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পাবলিক বা স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনা হবে।
পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) এক সভায় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এই উদ্যোগে সম্মতি জানান। তবে প্রক্রিয়াটি শুরুতে ধীরগতিতে এগোতে থাকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একই সময়ে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ চালু করে সেশনজট কমানোর উদ্যোগ নেয়। যদিও এর মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়, তবে ক্লাসের ঘাটতির অভিযোগ সামনে আসে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ
২০১৭ সালে ঢাবির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষা এবং সিলেবাস পরিচালনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হবে।”
তবে নতুন এই অধিভুক্তির পর, ঢাবি প্রশাসন বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়। এত বড় পরিসরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা, ভর্তি এবং সিলেবাস পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বর্তমান পরিস্থিতি
সাত বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার মান উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হলেও, তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। ক্লাস ঘাটতি, প্রশাসনিক জটিলতা এবং সমন্বয়ের অভাব এক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
নতুন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস এবং শিক্ষার উন্নত পরিবেশ সত্ত্বেও, প্রশাসনিক কাঠামো উন্নয়ন এবং ক্লাস কার্যক্রমে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। অধিভুক্ত কলেজগুলোকে সত্যিকারের মানসম্মত শিক্ষার প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর উদ্যোগ জরুরি।
অধিভুক্তি বাতিলের পর ভর্তি পরিক্ষার বিষয়ে যা জানালো ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির তালিকা থেকে বাদ পড়া রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করবে। এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে ঢাবির অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভর্তি বিষয়ক অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়, এই সাত কলেজে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গ্রহণ আপাতত স্থগিত থাকবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছিল ৬ জানুয়ারি, চলার কথা ছিল ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষাটি নির্ধারিত ছিল এপ্রিলে।
ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৮২টি কলেজ ও ইনস্টিটিউটের মধ্যে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে আলাদা কাঠামোয় পরিচালনার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন কাঠামোর অধীনে ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামীর ভর্তি আবেদন সংশ্লিষ্ট কলেজ বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে যারা আবেদন করেছেন, তাদের তথ্য ও জমা দেওয়া ভর্তি ফি (মোট ৩৩,১০১টি আবেদন) নতুন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তবে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন কিন্তু নতুন কাঠামোয় পরীক্ষা দিতে অনিচ্ছুক, তাদের আবেদন ফি ফেরত দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হবে।
ঢাবির অধীনে থাকছে না সাত কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অধিভুক্ত সম্পর্কের অবসান ঘটতে যাচ্ছে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। শিক্ষার্থীদের নিজস্ব কাঠামোতে ভর্তি ও একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
আজ সোমবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যুক্ত করুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সাত কলেজের অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপাচার্যের কার্যালয়ের নিকটস্থ ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
- ১. ঢাবির সঙ্গে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
- ২. পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে পৃথক হওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা এক বছর এগিয়ে এনে ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই কার্যকর করা হচ্ছে।
- ৩. শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ অনুসারে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন কাঠামোতে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
- ৪. আসনসংখ্যা, ভর্তি ফি ও অন্যান্য নীতিমালাসহ যাবতীয় বিষয় নির্ধারণে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিকে।
- ৫. বর্তমানে ঢাবির অধীনে থাকা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি চলবে এবং তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো প্রকার বিঘ্ন না ঘটে সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
এই সিদ্ধান্তে সরকারি সাত কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক স্বাধীনতা আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবি ও বাস্তবতার ভিত্তিতে নেওয়া এই পদক্ষেপ উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।