বিসিএস BCS আবেদন করতে শারীরিক যোগ্যতা | উচ্চতা ও ওজন

বাংলাদেশে সরকারি উচ্চপদে চাকরির স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষা হলো সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পথ। এটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক একটি পরীক্ষা, যেখানে সফল হতে হলে শুধু কঠোর প্রস্তুতিই যথেষ্ট নয়, বরং আবেদন করার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতাগুলোও পূরণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BPSC) কর্তৃক নির্ধারিত এই যোগ্যতাগুলো সাধারণত চারটি ভাগে বিভক্ত:

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • বয়সসীমা
  • নাগরিকত্ব
  • শারীরিক সক্ষমতা

বিসিএস BCS পুলিশ ও আনসার ক্যাডারে আবেদনকারীদের জন্য শারীরিক যোগ্যতার প্রয়োজনীয় শর্তগুলো হলো:

পুরুষ প্রার্থীদের জন্য

পুরুষ প্রার্থীদের জন্য

বিসিএস BCS আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা (Academic Qualification)

বিসিএসে আবেদন করার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। এখানে স্নাতক বলতে বোঝানো হয় চার বছর মেয়াদি অনার্স বা সমমানের ডিগ্রি।

যারা তিন বছর মেয়াদি স্নাতক (পাস কোর্স) সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের জন্য এক বছরের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি আবশ্যক।

আরও পড়ুন: মেট্রোরেল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

কোনো প্রার্থী যদি এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পর্যায়ের যেকোনো দুইটিতে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমান এবং একটিতে তৃতীয় শ্রেণি বা সমমানের নিচে পেয়ে থাকেন, তবে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

জিপিএ অনুযায়ী শ্রেণি নির্ধারণের নিয়মঃ

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্য:

জিপিএশ্রেণি
জিপিএ ৩.০০ বা তার বেশিপ্রথম শ্রেণি
জিপিএ ২.০০ থেকে ২.৯৯দ্বিতীয় শ্রেণি
জিপিএ ১.০০ থেকে ১.৯৯তৃতীয় শ্রেণি

স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে:

CGPAশ্রেণি
CGPA ৩.০০ বা তার বেশিপ্রথম শ্রেণি
CGPA ২.২৫ – ২.৯৯দ্বিতীয় শ্রেণি
CGPA ১.৬৫ – ২.২৪তৃতীয় শ্রেণি

বয়সসীমা (Age Limit)

প্রতিবছর হাজার হাজার চাকরিপ্রত্যাশী এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী হন। কিন্তু অনেকেই বিসিএসের বয়সসীমা সম্পর্কিত বিভ্রান্তি ও ভুল ধারণার কারণে আবেদন করার সুযোগ হারান। তাই, সঠিক বয়সসীমা জানাটা একজন প্রার্থীর প্রস্তুতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

সাধারণ প্রার্থীদের বয়সসীমা

সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা পূর্বে ২১ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ছিল। তবে বর্তমান সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ প্রার্থীদের বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বিশেষ শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য বয়সসীমা

নিম্নোক্ত শ্রেণির প্রার্থীদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩২ বছর পর্যন্তই রাখা হয়েছে:

  • মুক্তিযোদ্ধার পুত্র ও কন্যা
  • প্রতিবন্ধী প্রার্থী
  • উপজাতীয় প্রার্থী

বয়স গণনার নিয়ম

বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের যে মাসে বিজ্ঞাপন জারি হয়, সেই মাসের ১ম তারিখে প্রার্থীর বয়স নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি বিজ্ঞপ্তি এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়, তবে প্রার্থীর বয়স ১ এপ্রিল তারিখে ২১ থেকে ৩২ বছর এর মধ্যে থাকতে হবে।

বয়স প্রমাণের জন্য কোন সনদ গ্রহণযোগ্য?

বয়স যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমানের সনদে উল্লিখিত জন্ম তারিখই চূড়ান্তভাবে বিবেচিত হবে। হলফনামা বা জন্মসনদ দিয়ে বয়স পরিবর্তন এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এসএসসি সনদ অনুযায়ী বয়স হিসাব করে আবেদন প্রস্তুতি নিতে হবে।

নাগরিকত্ব (Nationality)

বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে প্রার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

যদি কোনো প্রার্থী বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করেন বা বিবাহের প্রতিশ্রুতি দেন, তবে তিনি সরকারি অনুমতি ব্যতীত বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

প্রার্থীদের কমিশনের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

Leave a Comment