বাংলাদেশের সেরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ( Top Private Medical College in Bangladesh) এর তালিকা তৈরিতে আমরা যে বিষয় কে প্রাধান্য দিয়েছি। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) এর অনুমোদন, আধুনিক শ্রেণীকক্ষ,ল্যাব ও হাসপাতালের সংযুক্তি,অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ, ইন্টার্নশিপ সুবিধা, বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও স্বীকৃতি, শিক্ষার মান, শিক্ষার পরিবেশ ইত্যাদি।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অবদান
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষায় সরকারি মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। আধুনিক অবকাঠামো, মানসম্পন্ন পাঠদান এবং চিকিৎসাসেবার সুযোগ দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান দেশে চিকিৎসা শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
শুধু দেশের শিক্ষার্থীরাই নয়, প্রতিবছর নানা দেশ থেকে আগত অসংখ্য বিদেশি শিক্ষার্থীও বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষা গ্রহণ করছেন। এই বৈচিত্র্যময় শিক্ষার পরিবেশ একদিকে যেমন গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষাকে পরিচিত করে তুলছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট ৩৮টি সরকারি এবং ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, যা স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও আগ্রহের প্রতিফলন।
বাংলাদেশের সেরা ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ | Top 10 Private Medical College in Bangladesh
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নাম | প্রতিষ্ঠা সন | সিট সংখ্যা |
---|---|---|
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, জনসন রোড়, ঢাকা | ১৯২৫ | ১৩০ |
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা | ১৯৮৬ | ১২০ |
ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজ, শাহবাগ, ঢাকা | ২০০২ | ১২০ |
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ, ঢাকা | ২০০০ | ১৪৫ |
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা | ২০০৮ | ১৪৭ |
জহরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ | ১৯৯২ | ১০০ |
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা | ২০০৭ | ৯০ |
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা | ২০০৫ | ৬০ |
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা | ১৯৯৮ | ১৪০ |
এনাম মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা | ২০০৩ | ১৫৫ |
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ | Dhaka National Medical College
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো ও স্বনামধন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। ১৯৯৪ সালে আধুনিক রূপে যাত্রা শুরু করলেও, এর শিকড় অনেক গভীরে—প্রথমবার ১৯২৫ সালে এটি “ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জনসন রোডে অবস্থিত এই মেডিকেল কলেজটি শহরের কেন্দ্রস্থলে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই কলেজে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স পরিচালিত হয়, যার শেষে ১ বছরের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ রয়েছে। কলেজটির নিজস্ব ৬৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং নিতে পারে। এছাড়াও এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব, লাইব্রেরি, হোস্টেল ও গবেষণার সুযোগ।
- সিট সংখ্যা – ১৩০
দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য, কারণ এখানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চিকিৎসা শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়। যাঁরা ঢাকায় থেকে মানসম্মত মেডিকেল শিক্ষালাভ করতে চান, তাঁদের জন্য ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হতে পারে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ | Bangladesh Medical College
বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হিসেবে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ (BMC) একটি ঐতিহাসিক ও অগ্রণী নাম। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডিতে অবস্থিত। এর গুণগত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং দীর্ঘদিনের সুনাম একে দেশের সেরা প্রাইভেট মেডিকেল কলেজগুলোর তালিকায় রেখেছে।
BMC ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস প্রোগ্রাম পরিচালনা করে, যা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) অনুমোদিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কলেজটির সঙ্গে রয়েছে নিজস্ব ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, যেখানে শিক্ষার্থীরা বাস্তবভিত্তিক চিকিৎসা শিক্ষা ও ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান।
- সিট সংখ্যা – ১২০
এই মেডিকেল কলেজে রয়েছে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, উন্নত ল্যাবরেটরি, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের সাপোর্ট সিস্টেম ও হোস্টেল সুবিধা। সুলভ টিউশন ফি ও সুনির্দিষ্ট একাডেমিক কাঠামোর কারণে এটি শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ | Ibrahim Medical College
ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, যা ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বারডেম হাসপাতালের অধীনে পরিচালিত হয়, যা দেশের ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইন চিকিৎসায় সবচেয়ে পরিচিত প্রতিষ্ঠান। কলেজটি শাহবাগে অবস্থিত, যা রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্বাস্থ্যখাত সমৃদ্ধ এলাকা।
এই কলেজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং সুবিধা, যা শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী শিক্ষা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রোগীদের সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, যা তাদের পেশাগত দক্ষতা গঠনে সহায়তা করে।
- সিট সংখ্যা – ১২০
ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল ক্লাসরুম, লাইব্রেরি ও একাডেমিক পরিবেশ। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে হোস্টেল ও আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। যাঁরা ডায়াবেটিস বা নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়ে গবেষণা ও উচ্চতর শিক্ষা চান, তাঁদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান।
হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ | Holy Family Red Crescent Medical College
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে নির্ভরযোগ্য ও গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্যতম হলো হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ। ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করা এই কলেজটি ঢাকার কেন্দ্রস্থল মালিবাগ-এস্কাটন এলাকায় অবস্থিত, যা চিকিৎসা সুবিধা ও উন্নত পরিবেশের জন্য পরিচিত।
এই কলেজটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়, যা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি মানবিক ও আন্তর্জাতিক আস্থার পরিমণ্ডলে নিয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা এখানে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্সের পাশাপাশি একটি পূর্ণাঙ্গ ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারে। কলেজটির নিজস্ব আধুনিক হাসপাতাল — হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল — শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে চিকিৎসাশিক্ষা লাভের দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়।
- সিট সংখ্যা – ১৪৫
প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে উন্নতমানের ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল ক্লাসরুম, লাইব্রেরি এবং হোস্টেল সুবিধা। দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি আস্থার কেন্দ্র, যেখানে মানসম্মত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার সমন্বয় ঘটেছে। আধুনিক স্বাস্থ্য শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি উপযুক্ত গন্তব্য।
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ | Anwer Khan Modern Medical College
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ (AKMMC) বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে একটি, যা ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ঢাকার অভিজাত এলাকা ধানমন্ডিতে অবস্থিত এবং চিকিৎসা শিক্ষায় আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।
এই কলেজে ৫ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স চালু রয়েছে, যা BMDC এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত। এর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে “আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল”, যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং ও ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করতে পারেন। হাসপাতালটি আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা পরিচালিত, যা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখার সুযোগ করে দেয়।
- সিট সংখ্যা – ১৪৭
AKMMC-তে রয়েছে উন্নত শ্রেণিকক্ষ, আধুনিক ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল লাইব্রেরি, শিক্ষকদের গাইডেন্স এবং গবেষণার সুযোগ। দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল ও অন্যান্য আবাসন সুবিধা রয়েছে। যাঁরা চিকিৎসা শিক্ষায় একটি সুশৃঙ্খল, আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান খুঁজছেন, তাঁদের জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ একটি আদর্শ পছন্দ হতে পারে।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ | Jahurul Islam Medical College
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ (ZIMC) বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, যার অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরে। এটি দেশের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে একটি, যা ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রখ্যাত শিল্পপতি ও সমাজসেবক মরহুম আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার বিজ্ঞপ্তি ও পরিক্ষার তারিখ ঘোষণা
ZIMC-এর নিজস্ব ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, নার্সিং কলেজ, ডেন্টাল ইউনিট ও একাধিক ল্যাবরেটরি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লাসরুম শিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে চিকিৎসা অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পান। কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) কর্তৃক স্বীকৃত।
- সিট সংখ্যা – ১০০
প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এই কলেজে আধুনিক অবকাঠামো, হোস্টেল, লাইব্রেরি ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ZIMC-এর ভূমিকা প্রশংসনীয়। যাঁরা ঢাকার বাইরে শান্ত পরিবেশে মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষা খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ | Uttara Adhunik Medical College
ঢাকার উত্তরা এলাকায় অবস্থিত উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ (UAMC) স্বাস্থ্যশিক্ষা খাতে একটি দ্রুত বিকাশমান ও গুণগত মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশজুড়ে স্বীকৃত। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মেডিকেল কলেজটি যাত্রার শুরু থেকেই আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি, যুগোপযোগী পাঠক্রম এবং দক্ষ প্রশিক্ষকের মাধ্যমে মানসম্পন্ন চিকিৎসক তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভূমিকা পালন করে আসছে।
UAMC-এর সঙ্গে রয়েছে একটি আধুনিক হাসপাতাল, যা ছাত্রছাত্রীদের বাস্তবভিত্তিক চিকিৎসা শিক্ষায় সহায়তা করে। কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং BMDC স্বীকৃত। এখানে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস প্রোগ্রামের পাশাপাশি রয়েছে ইন্টার্নশিপের সুবিধা, যা শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা গঠনে সহায়ক।
- সিট সংখ্যা – ৯০
কলেজ চত্বরে রয়েছে সুব্যবস্থাপিত হোস্টেল, উন্নতমানের ল্যাব, ডিজিটাল ক্লাসরুম ও লাইব্রেরি। ঢাকার উত্তরা এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। চিকিৎসা শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনের জন্য এটি একটি প্রতিশ্রুতিশীল নাম।
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ | Ibn Sina Medical College
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ, ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি ইবনে সিনা ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত, যা দীর্ঘদিন ধরে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
এই কলেজে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স পরিচালিত হয়, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং BMDC কর্তৃক অনুমোদিত। ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে রয়েছে একটি সম্পূর্ণ সজ্জিত হাসপাতাল, যা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে চিকিৎসা অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়ক। ল্যাব, লাইব্রেরি, সেমিনার হল এবং গবেষণাগার—সবকিছুই রয়েছে আধুনিক মানে সজ্জিত।
- সিট সংখ্যা – ৬০
এখানে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ হোস্টেল ও পরিপূর্ণ একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। ধানমন্ডির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় কলেজটিতে যাতায়াত ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধাও সহজলভ্য। যারা ঢাকায় থেকে আধুনিক চিকিৎসা শিক্ষা পেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প।
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ | Shaheed Monsur Ali Medical College
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকার অন্যতম উদীয়মান বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে। সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শহীদ মনসুর আলীর নামে নামকরণকৃত এই কলেজটি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা গবেষণায় অগ্রসর একটি প্রতিষ্ঠান।
এই কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং BMDC অনুমোদিত। এখানে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স পরিচালিত হয়, যার শেষে বাধ্যতামূলক এক বছরের ইন্টার্নশিপ রয়েছে। কলেজটির নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল স্কিল অর্জনে সাহায্য করে।
- সিট সংখ্যা – ১৪০
শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে রয়েছে ডিজিটাল ক্লাসরুম, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক ল্যাবরেটরি ও হোস্টেল সুবিধা। কলেজটি উত্তরার নিরিবিলি এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি একটি শান্ত ও নিরাপদ পরিবেশে থাকতে পারেন। যারা চিকিৎসা শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো পছন্দ।
এনাম মেডিকেল কলেজ | Enam Medical College
এনাম মেডিকেল কলেজ, ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত একটি স্বনামধন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, যা ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি এনাম হাসপাতাল কর্তৃক পরিচালিত, যা দেশের একটি বৃহৎ ও অত্যাধুনিক মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি হাসপাতাল হিসেবেও পরিচিত।
এই কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং BMDC কর্তৃক স্বীকৃত। এখানে পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস কোর্স এবং কোর্স শেষে এক বছরের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ। এনাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালেই শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে চিকিৎসা শিখতে পারেন, যা তাদের বাস্তব দক্ষতা গঠনে সহায়ক।
- সিট সংখ্যা – ১৫৫
এখানে রয়েছে উন্নত মানের ল্যাবরেটরি, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, হোস্টেল ও গবেষণা সুবিধা। সাভারের শহরঘেঁষা অবস্থান শিক্ষার্থীদের জন্য একদিকে শহরের সুযোগ-সুবিধা এবং অন্যদিকে পড়াশোনার জন্য একটি শান্ত পরিবেশ নিশ্চিত করে। চিকিৎসা শিক্ষার মান ও অবকাঠামোর দিক থেকে এনাম মেডিকেল কলেজ এখন অন্যতম পছন্দের প্রতিষ্ঠান।