ডোনাল্ড ট্রাম্প – যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি

সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন একটি বিশেষ পদ্ধতি, ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে। এই ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন, যাঁরা শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করেন, কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

ইলেকটোরাল কলেজের গঠন ও কার্যপ্রণালী

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক ইলেকটর থাকেন, যা নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কংগ্রেস সদস্যদের সংখ্যার ভিত্তিতে। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস-এর সদস্য সংখ্যা নির্ভর করে প্রতিটি রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর, আর সিনেটের প্রতি রাজ্যের জন্য থাকে দুটি করে আসন।

সব মিলিয়ে, ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেনটেটিভ, ১০০ জন সিনেটর এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার তিনজন ইলেকটর মিলে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে গঠিত হয় ইলেকটোরাল কলেজ।

ইলেকটোরাল ভোটের ভূমিকা

প্রেসিডেন্ট হতে হলে কোনো প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়, যা মোট ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ। ক্যালিফোর্নিয়ার রয়েছে সর্বাধিক ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট, যেখানে ভারমন্টের মতো ছোট রাজ্যে রয়েছে মাত্র তিনটি। মেইন এবং নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি সব রাজ্যে ‘উইনার টেকস অল’ পদ্ধতিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারণ হয়। এর মানে হলো, যে প্রার্থী কোনো রাজ্যে এগিয়ে থাকেন, তিনি সেই রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোট পান।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে হলে সংবিধান অনুযায়ী তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়:

তবে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য তৃতীয় শর্তে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক যে কেউ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত ব্যক্তিও সংবিধান অনুযায়ী প্রার্থী হতে বাধা পান না।

সংবিধানের বিশেষ বিধান

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে তিনি রাজনৈতিক পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।

এই পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যতিক্রমী এবং গভীরভাবে কাঠামোবদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *