ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
যেসব প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে
- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং
- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
- ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সমুহ:
১. ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ।
২. ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর।
৩. বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল।
বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট:
১. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার), সাভার, ঢাকা
২. শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৩. কে এম হুমায়ুন কবীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ
৪. সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, মিরপুর, ঢাকা
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আবেদনের যোগ্যতা
২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মাধ্যমিক (SSC) বা সমমান এবং ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক (HSC) বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিদেশি ডিগ্রিধারীরাও নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পর্যায়ে পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ এবং মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। উচ্চমাধ্যমিকে পদার্থ, রসায়ন এবং গণিত বিষয় অবশ্যই থাকতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। মোট ১২০ নম্বরের এই পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন নিম্নরূপ:
পদার্থ | ৩৫ |
রসায়ন | ৩৫ |
গণিত | ৩৫ |
ইংরেজি | ১৫ |
- আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫০ টাকা
অনলাইনে আবেদন ও বিস্তারিত সকল তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিট একটি স্বতন্ত্র ও আলাদা ইউনিট, যা বিশেষত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত। ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের মতোই, প্রযুক্তি ইউনিটের অধীনে রয়েছে আরও ৭টি বিশেষায়িত কলেজ। এই ইউনিটের অধিভুক্ত কলেজগুলোর সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়াকেই বলা হয় প্রযুক্তি ইউনিট।
প্রযুক্তি ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ১,৫৫৫টি। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সিট সংখ্যা নিম্নরূপ:
- সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ৪৮০টি
- নিটার (জাতীয় বস্ত্র ও গবেষণা ইনস্টিটিউট): ৬৮৫টি
- বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ২৯০টি
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সিট সংখ্যা:
- ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: প্রতিটিতে ১৮০টি
- বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ১২০টি
- শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ২৫০টি
- কে এম হুমায়ুন কবির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ৮০টি
- সাইক ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি: ৬০টি
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলো পাবলিক, নাকি বিশেষায়িত?
প্রথমেই, “পাবলিক” বলতে যা বোঝানো হয়, তা হলো সরকারি মালিকানাধীন ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনপ্রাপ্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার কাঠামো তিনটি ভাগে বিভক্ত:
- পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (সরকারি মালিকানাধীন)
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (বেসরকারি মালিকানাধীন)
- আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্বশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রযুক্তি ইউনিটের অধিভুক্ত কলেজগুলো বিশেষায়িত কলেজ হিসেবে স্বকীয়তা বজায় রেখে পরিচালিত হয়। যদিও এগুলো সরাসরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, তবুও বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এদের স্বতন্ত্র মর্যাদা রয়েছে।
প্রযুক্তি ইউনিটের মাধ্যমে, উচ্চশিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | Mymensingh Engineering College
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে গঠিত একটি সরকারি প্রকৌশল কলেজ। এটি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ময়মনসিংহ শহরের অন্যতম প্রধান কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ দেশের প্রকৌশল শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আধুনিক ল্যাব, দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ ও মানসম্মত শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলছে আন্তর্জাতিক মানের প্রকৌশলী হিসেবে।
প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) বিভাগ যুক্ত হয়। আধুনিক ল্যাব, লাইব্রেরি, হোস্টেল এবং সবুজ পরিবেশসহ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ শিক্ষাবান্ধব অবকাঠামো।
- অবস্থান: চরনিলক্ষিয়া, ময়মনসিংহ শহরের নিকটবর্তী মনোরম পরিবেশে
- বিভাগসমূহ: EEE, CSE, Civil Engineering
- ভর্তি পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা বা DU ভর্তির আওতায়
- উদ্দেশ্য: বিশ্বমানের প্রকৌশলী তৈরি ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের নির্মাণ
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | Faridpur Engineering College
২০১০ সালে ফরিদপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে গঠিত একটি স্বনামধন্য সরকারি প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন এই কলেজটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ প্রকৌশলী তৈরি করার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ১০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
প্রথমদিকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগ চালু থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (CE) বিভাগ যুক্ত হয়। এখানে রয়েছে আধুনিক ল্যাব, গ্রন্থাগার, আবাসিক সুবিধা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ।
- অবস্থান: ফরিদপুর শহরের আলীপুরে সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশে
- বিভাগসমূহ: EEE, CSE, Civil Engineering
- ভর্তি পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা বা DU ভর্তির আওতায়
- প্রতিষ্ঠাকাল: ২০১০
- উদ্দেশ্য: দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত প্রকৌশল শিক্ষা নিশ্চিত করা
ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এখন শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং দক্ষতা, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের এক আধুনিক কেন্দ্রবিন্দু।
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | Barishal Engineering College
২০১৮ সালে বরিশাল শহরে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হলো বাংলাদেশ সরকারের অধীনে পরিচালিত একটি আধুনিক সরকারি প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত প্রকৌশল শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হয়।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (CE) বিভাগ চালু রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বিভাগ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আধুনিক ল্যাব, ডিজিটাল লাইব্রেরি, আবাসিক সুবিধা ও সবুজ ক্যাম্পাস।
- অবস্থান: বরিশাল নগরীর রুপাতলী এলাকায় অবস্থিত মনোরম ক্যাম্পাস
- বিভাগসমূহ: EEE, Civil Engineering
- ভর্তি পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা বা DU ভর্তির আওতায়
- প্রতিষ্ঠাকাল: ২০১৮
- উদ্দেশ্য: দক্ষ প্রকৌশলী তৈরি এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (NITER)
১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার) দেশের বস্ত্রশিল্প খাতে দক্ষ প্রকৌশলী ও গবেষক তৈরিতে অনন্য এক সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান। এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অধিভুক্ত একটি বিশেষায়িত প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
নিটার মূলত টেক্সটাইল প্রযুক্তি, ফ্যাশন ডিজাইন ও গার্মেন্টস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিশ্বমানের বিএসসি ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। এখানে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষণাগার, টেক্সটাইল টেস্টিং ল্যাব, আধুনিক লাইব্রেরি, ডিজিটাল ক্লাসরুম, ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ ও শিক্ষার্থী বান্ধব আবাসন ব্যবস্থা।
- অবস্থান: সাভার, ঢাকা (জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিকটবর্তী)
- প্রধান বিভাগসমূহ: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (IPE), অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
- প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৭৯
- বিশেষত্ব: শিক্ষা, গবেষণা ও শিল্পখাতে বাস্তবমুখী সংযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি
- ভর্তি পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা বা DU ভর্তির আওতায়
শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | Shyamoli Textile Engineering College
ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত শ্যামলী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একটি স্বনামধন্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা আধুনিক টেক্সটাইল প্রযুক্তি ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে প্রস্তুত করে। দেশের ক্রমবর্ধমান টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাতে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই এই কলেজের যাত্রা শুরু হয়।
এই কলেজে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও ইন্ডাস্ট্রি ভিত্তিক শেখার সুযোগ প্রদান করা হয়। এখানে রয়েছে আধুনিক ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল ক্লাসরুম, লাইব্রেরি, সেমিনার সুবিধা এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ।
- অবস্থান: মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, ঢাকা
- প্রধান কোর্স: বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
- ব্যবস্থাপনা: বেসরকারি মালিকানাধীন, টেক্সটাইল খাতভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- উদ্দেশ্য: প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন টেক্সটাইল প্রকৌশলী তৈরি করা
- ভর্তি পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা বা DU ভর্তির আওতায়
কে.এম. হুমায়ুন কবীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ | K.M. HUMAYUN KABIR ENGINEERING COLLEGE
ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত কে এম হুমায়ুন কবীর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রকৌশল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং মানসম্পন্ন শিক্ষার সমন্বয়ে দক্ষ প্রকৌশলী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পখাতে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ার গঠনের উপযোগী করে তোলাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
কলেজটিতে বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE) এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (CE) সহ একাধিক প্রযুক্তিনির্ভর বিভাগ চালু রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, আধুনিক ল্যাব, ডিজিটাল ক্লাসরুম ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ।
- অবস্থান: ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে, সহজ যোগাযোগব্যবস্থাসম্পন্ন এলাকায়
- বিভাগসমূহ: EEE, CSE, Civil Engineering
- ভর্তি পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা বা DU ভর্তির আওতায়
- প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য: প্রযুক্তিনির্ভর ও নৈতিকতাভিত্তিক শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি
সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি | Saic Institute of Management & Technology
ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত স্যাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (SAIC Institute of Management and Technology) বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিনির্ভর উচ্চশিক্ষা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করছে। প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ও বাস্তবমুখী পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করে, যা তাদের কর্মজীবনে সফলতার পথপ্রদর্শক।
এই ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ডিপ্লোমা, বিএসসি, ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়, যেমনঃ কম্পিউটার টেকনোলজি, সিভিল টেকনোলজি, ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি, ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং, ও এইচআরএম। রয়েছে আধুনিক ল্যাবরেটরি, ই-লাইব্রেরি, দক্ষ প্রশিক্ষক দল ও ইন্ডাস্ট্রি সংযুক্ত কোর্স কাঠামো।
- অবস্থান: মিরপুর-১, ঢাকা
- প্রধান কোর্সসমূহ: কম্পিউটার টেকনোলজি, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হোটেল ম্যানেজমেন্ট
- ভর্তি পদ্ধতি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পৃথক ভর্তি পরীক্ষা বা DU ভর্তির আওতায়
- প্রতিষ্ঠান ধরণ: বেসরকারি, কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- উদ্দেশ্য: বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা
Last date kobe?